একজন চৌকস মানবিক পুলিশ অফিসার মো.মহিববুল্লাহ

একজন চৌকস মানবিক পুলিশ অফিসার মো.মহিববুল্লাহ

আবুল কালাম আজাদ,মির্জাগঞ্জ পটুয়াখালী: পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ থানায় দায়িত্বরত একজন চৌকস, সৎ, মেধাবী, নীতিবান, সদালাপী, নির্ভীক, দেশপ্রেমিক, কর্তব্যপরায়ণ, সুযোগ্য, উদ্যমী, ন্যায়পরায়ণ, দায়িত্বশীল ও মানবিক পুলিশ অফিসার মো. মহিববুল্লাহ। 

পুলিশ যে জনগণের বন্ধু,আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি তারা যে মানবিক কাজের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ওসি মো.মহিববুল্লাহ। 

ওসি মো. মহিববুল্লাহ,দুস্থ অসহায় মানুষকে সহযোগিতার মতো মানবিক কাজগুলোও নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করেন। তিনি, কোভিড-১৯ মহামারি করোনা সংক্রমণ রোধে ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নিজের কথা না ভেবে দেশের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করছেন এ পুলিশ অফিসার।  

মির্জাগঞ্জ থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিয়মমাফিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তিনি মির্জাগঞ্জ থানায় যোগদান করে"মাদকের বিরুদ্ধে তার জিরো টলারেন্স নীতি কাজে লাগিয়ে" অসংখ্য মাদক সেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। বিভিন্ন অপরাধী ও বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিকৃত আসামীদের আটক করে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। 

একসময় কিছু দালাল প্রতারক চক্রের লোকেরা সাধারণ মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে হাতিয়ে নিত তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের টাকাপয়সা। তিনি রোধ করেছেন সেসব দালাল প্রতারকদের দৌরাত্ম্য। সমস্ত ভয়ভীতি থেকে মুক্ত করে এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে মানুষের ভিতর শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সফল হয়েছে। সরকার ঘোষিত লকডাউন চলাকালীন তার মানবিক কার্যক্রমে সর্বমহল থেকে প্রশংসিত হয়েছেন, এবং তা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

করোনা মহামারী মোকাবেলায় পেশাদারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রমে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এ পুলিশ অফিসার। সরকার লকডাউন ঘোষণা করার পর মির্জাগঞ্জ বাসিকে ঘরে থাকতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।

এসব কারণে এ পুলিশ অফিসার মির্জাগঞ্জের মানুষের ব্যাপক প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন। তিনি সততার চাঁদরে আবৃত ব্যক্তিময় চলাফেরার কারণে ইতিপূর্বে মির্জাগঞ্জ উপজেলার সাধারণ মানুষের হৃদয়ের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন। পুলিশ নিয়ে অনেকের বিরূপ ধারণা থাকলেও ওসি মো. মহিববুল্লাহ সে ধারণা সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছেন। তিনি একজন ব্যতিক্রমধর্মী পুলিশ অফিসার।

তিনি শুধুমাত্র তার উপর অর্পিত পবিত্র দায়িত্ব পালনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তিনি নিরলস ভাবে মির্জাগঞ্জ থানার সকল অসহায় মানুষদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। করোনা নামক ছোঁয়াচে এক অদৃশ্য জীবাণুর কারণে সবাই ভয়ে তটস্থ। আর একারণে আপন মানুষগুলো যেন পর হয়ে গেছে,কাছের প্রিয় মানুষগুলোও দূরে সরে গেছে। এর মধ্যে তিনি ব্যতিক্রম, মৃত্যু ভয়কে উপেক্ষা করে অন্যের সাহায্যে সবসময় ছুটে চলেছেন। তিনি অহর্নিশি কর্মব্যস্ততার জন্য নিজ পরিবারকে সময় দিতে পারেন না বললেই চলে। 

মির্জাগঞ্জ থানায় সেবা নিতে আসা কয়েকজনের সাথে আলাপকালে তারা বলেন,যে কোন সমস্যা নিয়ে থানায় অভিযোগ করলে, সমস্যা সমাধানে ওসি মহিববুল্লাহ স্যারের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি পাইনি। আমাদের চোখে দেখা পুলিশ অফিসারের মধ্যে তিনি সেরা একজন পুলিশ অফিসার। 

তারা আরোও বলেন,একজন স্বপ্নচারী মানবিক ও নিষ্ঠাবান পুলিশ অফিসার মহিববুল্লাহ স্যারে। তিনি একজন অসাধারণ ভালো মনের মানুষ। মানবিক মূল্যবোধ ও আত্মমর্যাদায় উদ্ভাসিত হয়ে দেশের পুলিশ হোক জনগণের সত্যিকারের বন্ধু,এবং অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের শেষ ভরসা ও আশ্রয়স্থল।

বিআলো/ইলিয়াস