‘বাংলাদেশের আলো বাংলাদেশের ভালোবাসা নতুন প্রজন্মের সিরাজউদ্দৌলা’ _ আবদুল নবী

‘বাংলাদেশের আলো বাংলাদেশের ভালোবাসা নতুন প্রজন্মের সিরাজউদ্দৌলা’          _ আবদুল নবী

বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব আজও বেঁচে আছে আমাদের লাল সবুজের বাংলাদেশে। আমি সেই ঐতিহ্যের কথা বলছি যে ঐতিহ্য সৎ ও ন্যায়ের শিক্ষা দেয়। অর্থাৎ বাংলার ঐতিহ্যবাহী নবাব সিরাজউদ্দৌলা পরিবারের কথা বলছি। পৃথিবীর সব দেশ তাদের রাজবংশকে বিশেষ সম্মান দেয়। কারণ তারা হলো ইতিহাস ঐতিহ্য। অথচ আমাদের দেশে সেটা হয় না! নবাব বংশের উত্তরসূরি এখনো বাংলাদেশের মা- মাটি- আকাশ- বাতাস- প্রকৃতিকে হৃদয়ের বন্ধনে আঁকড়ে রেখেছেন নিখাদ ভালোবাসার জোরে। অথচ তাদের প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হচ্ছে না!


বাংলার ঐতিহ্যবাহী নবাব সিরাজউদ্দৌলা পরিবারের নবম রক্তধারা প্রজন্ম- বাংলার যুবরাজ সৈয়দ গোলাম আব্বাস আরেব ওরফে নবাবজাদা আব্বাসউদ্দৌলা বর্তমানে বাংলাদেশে রয়েছেন। তিনি এমন একজন ব্যক্তিত্ব যিনি হুবহু বীর দেশপ্রেমী নবাব সিরাজউদ্দৌলার প্রতিচ্ছবি। আরেক সিরাজ, আরেক ঐতিহ্যের সৌরভ। ওনাকে দেখে বর্তমানে কিশোর তরুণ যুবকেরা উৎসাহ পায়। বাংলার দেশপ্রেমী প্রতিটি হৃদয়ের ভালোবাসা হয়ে এখনো সামাজিক সেবা করে যাচ্ছেন তিনি। অথচ বাংলাভূমি তাঁর জন্য নিরাপদ না! ওনাকে পদে পদে হামলা করা হচ্ছে,

যাতে তিনি তাঁদের প্রকৃত ইতিহাস ঐতিহ্য আদব কায়দার সন্দরজকে বাংলার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দিতে না পারেন। তিনি ঢাকার যে ছোট্ট ফ্ল্যাটে থাকেন সেই ফ্ল্যাটের লেভেল ফোরে নব্য জগৎ শেঠ- রাজ বল্লভ- কৃষ্ণ চন্দ্ররা নব্য ঘোষিটি বেগম- মিরণ- মীরজাফরদের সহায়তায় ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে ক্লাইভের জারজ বংশধর নিগ্রদের দিয়ে রাজনৈতিক চক্রান্ত করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল গত রমজান মাসের ( মে- ২০২০ ) ঈদের ঠিক একদিন পূর্বে বিভিন্ন সময় আরও নিত্য নতুন ষড়যন্ত্র করে আমাদের নতুন প্রজন্মের সিরাজউদ্দৌলাকে বাংলার নব্য দুশমনেরা করছে ক্ষত বিক্ষত করেছে অথচ প্রশাসন নীরব!  

 
নবাবজাদা আব্বাসউদ্দৌলা সর্বদাই নম্র-ভদ্র মানসিকতার প্রকাশ করছেন বাংলার বীরসন্তান নবাব সিরাজউদ্দৌলার মতো।  ১৭৫৬-৫৭ সালে বাংলার দুশমন কুচক্রীদের প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন দেশপ্রেমী সিরাজ। বর্তমানেও তাই হচ্ছে! বীর নবাব সিরাজউদ্দৌলার সন্তান নতুন প্রজন্মের সিরাজউদ্দৌলা আব্বাসউদ্দৌলাকে নিয়ে বারবার চক্রান্ত ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, ঠিক ১৭ শতকের পলাশী-পরবর্তী সময়ের ন্যায়! তাঁর নামে মিথ্যা সব দুর্নাম রটানো হচ্ছে, নিত্য নতুন ষড়যন্ত্রমুলক ফাঁদে ফেলানর চক্রান্ত করা হচ্ছে, মানসিকভাবে ভাঙার প্রয়াশ করা হচ্ছে, কখনোবা তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে! তাঁর দেশপ্রেম ও সততার এই মূল্য বুঝি?  


স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরেও আমি কোনো নেতাকে শ্রদ্ধা ভালোবাসায় সালাম জানাইনি। তবে আজ জানাচ্ছি নবাবজাদা আব্বাসউদ্দৌলাকে। তার চিন্তা-চেতনা, কাজকর্ম ঠিক যেন বাংলার বীরসন্তান নবাব সিরাজউদ্দৌলার মতো। সততা- দেশপ্রেম- ভালোবাসাসহ সবকিছুতেই তাঁর বড় আব্বা নবাব সিরাজউদ্দৌলার মতো, তিনিও ১০০ তে ১০০ ভাগ বাংলার খাঁটি দেশপ্রেমী সন্তান। বাংলাদেশ সরকারের উচিত প্রশাসনিকভাবে বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই নবাব পরিবারকে ও নবাব পরিবারের দেশপ্রেমী নবম প্রজন্মকে সুরক্ষিত রাখা। তাঁদের প্রকৃত রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিয়ে অন্যান্য দেশের মতো সম্মান দিতে হবে। এতে দেশ ও জাতি সম্মানিত হবে।

সালাম জানাচ্ছি প্রিয় ভালোবাসা ঘধধিনুধফধ অষর অননধংঁফফধঁষষধয-কে যিনি ২৭৫ বছরেরও বেশি সময় পরেও সিরাজ হয়ে বাংলায় ফিরে আসার জন্য।
‘জয় হিন্দ’ শুনতে বা বলতে বা সমর্থন করতে ইচ্ছে হয় না, হবে না। তবে, ‘নতুন প্রজন্মের সিরাজউদ্দৌলার জয়ে বাংলার জয়’ এটা শুনতে বা বলতে ভালো লাগে।                                                                                                        

লেখক - ( কবি ও সাংবাদিক; কক্সবাজার, বাংলাদেশ )।

বি আলো ইমরান