বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে, ছাত্রলীগকে আঁটঘাট বেঁধে নামতে হবে: কাদরে

বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে, ছাত্রলীগকে আঁটঘাট বেঁধে নামতে হবে: কাদরে
ছবি: মো. আসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুললে আটঘাট বেঁধে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নামার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘অচিরেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে। আপনাদের কিন্তু আটঘাট বেঁধে নামতে হবে।’

শুক্রবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বালাদেশে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি এখনো চলমান। বাংলার আকাশে এখনো ষড়যন্ত্রের গন্ধ। তরুণদের সতর্ক হতে হবে। সামনের দিন আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ আছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশে ক্ষমতার মঞ্চ পরিবর্তনের পর এখানে যারা উল্লসিত তাদের মতলব কি, উদ্দেশ্য কি তা বুঝতে হবে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মনে রাখবেন, শিক্ষাঙ্গনগুলোতে নানান কৌশল, অপকৌশলে অস্থিরতা তৈরি হবে। শিক্ষাঙ্গন খুলতে যাচ্ছে। অচিরেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে। আপনাদের কিন্তু আটঘাট বেঁধে নামতে হবে। অনেক অপশক্তি এবার মাঠে নামবে চ্যালেঞ্জ করবে। তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরেই তারা অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সামাজিক আন্দোলনের কোটা সংস্কার, সড়ক নিরাপদ’ এসব আন্দোলন তো আমরা দেখেছি। আন্দোলনের নামে যে অরাজকতা আমরা দেখেছি। সেই প্রস্তুতির সঙ্গে সঙ্গে অস্থিতিশীলতার প্রস্তুতিও তারা নিচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকে, ষড়যন্ত্রের স্রোতকে আরও তীব্র করা প্রস্তুতি নিচ্ছে। শেখ হাসিনার সরকারকে হটানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কাজেই ছাক্রলীগকে আজকে ওয়েল ইকুইপড হতে হবে। মেধা সৎ ছাত্র রাজনীতি আজকের বাস্তবতা। প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জন করে মাঠে নামতে হবে।’

‘কাজেই আমি ছাত্রলীগকে বলবো, আপনারা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের চেতনার সঙ্গে অচ্ছেদ্য বন্ধনে জড়িত। সে গৌরব আমি আবারও দেখতে চাই। ছাত্রলীগকে সেই গৌরবের ধারা ফিরিয়ে আনতেই হবে।’ বলেন সেতুমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, ‘খারাপ খবরের শিরোনাম দেখতে চাই না। সততা দিয়ে কর্ম দিয়ে সাহস দিয়ে মেধা দিয়ে চরিত্র দিয়ে সাধারণ ছাত্রদের কাছে ছাত্রলীগকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। দিস ইজ ভ্যারি ইম্পরটেন্ট।’

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের সমালোচনা করায় বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনা করেন কাদের। সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কথায় এখন গা জ্বালা শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক সত্যের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। মির্জা ফখরুলকে বার বার জিজ্ঞেস করেছি, চট্টগ্রামে নিহত হওয়ার পর থেকে ঢাকায় দাফন হওয়া পর্যন্ত একটা ছবি দেখাতে পারবেন? আমি লাশের ছবির কথা আজও বলব।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কাউন্টার করতে গিয়ে মির্জা ফখরুল আপনি আবোল তাবোল বকলেন। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বক্তব্য দিলেন কিন্তু আপনি লাশের ছবি দেখাতে পাবেন কিনা। সত্যের মুখোমুখি হোন। সত্যের বন্যা অপ্রতিরোধ্য। সত্য বেড়িয়ে আসবেই। প্রধানমন্ত্রী সত্যই তুলে ধরেছেন সেটা তার পছন্দ হয়নি।

সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, দেখতে দেখতে বারো বছর চলে গেলো, এক যুগ। এবছর না ওই বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর? এই সব আন্দোলনের হাকডাক আষাড়ের তর্জন-গর্জনেই।

বিআলো/ইলিয়াস