রায়গঞ্জে বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে দেশীয় ফল জাম্বুরা

রায়গঞ্জে বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে দেশীয় ফল জাম্বুরা

মোঃ মোকাদ্দেস হোসাইন সোহান, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় বিগত কয়েক বছরের চেয়ে এবার জাম্বুরার বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকের মুখে ফুটেছে তৃপ্তির হাসি। চারা রোপণের পাঁচ-সাত বছরের মধ্যে জাম্বুরার ফলন পাওয়া সম্ভব। প্রতিটি গাছের গড় আয়ু ২৫-৩০ বছর, ফলনও পাওয়া যায় দীর্ঘ দিন ধরে।

জাম্বুরা চাষাবাদের মধ্য দিয়ে আত্মনির্ভশীল হওয়ার পথ খুঁজে পেয়েছেন এ অঞ্চলের চাষিরা। তাদের ভাগ্য খুলেছে, পরিবারে এসেছে সচ্ছলতা। এ অঞ্চলে উৎপাদিত জাম্বুরা মানসম্মত ও সুস্বাদু হওয়ায় এর চাহিদা রয়েছে এ অঞ্চলের বিভিন্ন হাটবাজারে ক্রেতাদের কাছে। জাম্বুরা ‘ভিটামিন সি’ সমৃদ্ধ একটি সুপরিচিত লেবু গোত্রের ফল।

রায়গঞ্জ উপজেলায় জাম্বুরার বাণিজ্যিক কোনো বাগান নেই। বসতবাড়ি, স্কুল-কলেজের আশপাশে ও পতিত জায়গায় জাম্বুরার চাষ হয়ে থাকে। কোনো কোনো অঞ্চলে এটি বাতাবি লেবু নামেও পরিচিত। অন্যান্য ফলের তুলনায় যেমন দামে সস্তা, তেমন পুষ্টিতেও ভরপুর। টক-মিষ্টি এ ফলটি লবণ- মরিচ মিশিয়ে মাখিয়ে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। জাম্বুরা লেবু গোত্রের ফল হলেও স্বাদ অনেকটা কমলা লেবুর মতো। জাম্বুরা ফল হিসেবে যেমন চমৎকার, তেমনি পুষ্টিও ব্যাপক।

ভাদ্র মাসের শেষের দিক থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত ফলটি গাছে গাছে দেখা যায়। তবে সবচেয়ে বেশি পাকে আশ্বিন থেকে কার্তিক মাসের মাঝামাঝি সময়ে। সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে প্রতি হেক্টরে ১২-১৫ টন ফলন পাওয়া সম্ভব।

উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের রাস্তার ধারে বাড়ীর আঙ্গিনায় জাম্বুরা গাছ রয়েছে। গাছ প্রতি ২০০-৩৫০ জাম্বুরার ফলন হয়েছে এমনটা লক্ষ করা যায়। এগুলো বেশির ভাগই স্থানীয় জাতের। এ অঞ্চলের চাষিরা অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি জাম্বুরা চাষেও আগ্রহ ও উৎসাহ দেখাচ্ছেন।

উপজেলার গ্রামপাঙ্গাসী গ্রামের মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, যদি স্থানীয় বাজারে উপযুক্ত দাম পাওয়া যেত, তাহলে জাম্বুরা চাষে অনেকেই আগ্রহী হতেন। স্থানীয় বাজারে পাইকারি ১০-১২ টাকা দামে একেকটি জাম্বুরা বিক্রি হয় কিন্তু পাইকারদের কাছ থেকে ক্রেতারা ৩০-৫০ টাকার কমে কিনতে পারেন না। ফলে চাষিদের চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছেন পাইকাররা। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে জাম্বুরার চাহিদা রয়েছে ব্যপক।

পাইকারদের মাধ্যমে এ অঞ্চলের জাম্বুরা এখন বিভিন্ন হাটবাজারেও বিক্রি হচ্ছে। ভালো দাম পেলে বানিজ্যিক ভাবে ব্যবসা করতে আগ্রহী হবেন উপজেলার চাষীরা।

বিআলো/শিলি