লেখক মুশতাকের মৃত্যু

লেখক মুশতাকের মৃত্যু
ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিনিধি : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাবন্দি লেখক মুশতাক আহমেদের (৫৩) মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন।

কারাবন্দি মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ক্ষেত্রে তার চিকিৎসায় কোনো অবহেলা ছিল কিনা; তা খতিয়ে দেখে এই কমিটিকে আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন— জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম মো. ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী ও উম্মে হাবিবা ফারজানা।

গাজীপুরের ডিসি এস এম তরিকুল ইসলাম শুক্রবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর আগে তার চিকিৎসায় কারো কোনো অবহেলা আছে কি না; মূলত তা খতিয়ে দেখতেই আভ্যন্তরীণভাবে এ কমিটি করা হয়েছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হয়ে ছয় মাসের বেশি কারাবন্দি অবস্থায় শুক্রবার মারা গেছেন মুশতাক আহমেদ (৫৩)।বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুরের হাইসিকিউরিটি কারাগারে মৃত্যু হয় মুশতাকের।

গত বছরের মে মাসে লেখক মুশতাক আহমেদ, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নানকে র্যাকব গ্রেফতার করে।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কথাবার্তা ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে এ সময় মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে র্যা ব।

সেই মামলায় দুজন জামিনে মুক্তি পেলেও মুশতাক ও কিশোরের জামিন আবেদন ছয়বার নাকচ হয়।মোস্তাক আহাম্মেদ নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার থানার ছোট বালাপুর এলাকার মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, সন্ধ্যায় কারাগারের ভিতর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন মোস্তাক আহাম্মেদ। এসময় তাকে কারা হাসপাতালে নেয়া হয়।পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মোস্তাক আহাম্মেদকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

তার বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা ছিল। ২০২০ সালের আগস্ট মাস থেকে তিনি এ কারাগারে বন্দি ছিলেন। কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে তার হাজতি নম্বর ছিল- ৯২৭/২০২০।

বি আলো / মুন্নী