শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে বাংলাদেশের অগ্রগতি আরো ত্বরান্বিত হতো: এফবিসিসিআই সভাপতি

শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে বাংলাদেশের অগ্রগতি আরো ত্বরান্বিত হতো: এফবিসিসিআই সভাপতি
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একত্রে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংকটে প্রধানমন্ত্রীর পাশে থেকে দেশকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিতে পারতেন শেখ রাসেল। আজকের বাংলাদেশ হতো আরো সমৃদ্ধ, আরো সম্ভাবনাময়।

সোমবার শেখ রাসেলের জন্মদিন ও “শেখ রাসেল দিবস-২০২১” উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাকান্ডে যারা ছোট্ট শিশু রাসেলকেও ছাড় দেয়নি, তারা ইতিহাসের জঘন্যতম খুনি। এর মাধ্যমে অন্ধকারের অপশক্তি বাংলাদেশকে স্বাধীনতার আগের অবস্থানে নিয়ে যেতে চেয়েছিলো। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। সেদিনের শিশু রাসেল আজকে পরিণত নেতায় পরিণত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরো শক্তিশালী করতে পারতেন। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা হতো আরো গতিময়।

এ সময় তিনি দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, দেশের অন্যান্য খাতের মতো বিমাখাতকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এজন্য নতুন নতুন পণ্য নিয়ে হাজির হতে হবে। এ খাতের যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য এফবিসিসিআই সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন এর সভাপতি শেখ কবির হোসেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের শাস্তি হলেও, অন্য যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে। যারা এই হত্যাকান্ডের বিচার করা যাবেনা বলে আইন করেছিলো, তাদেরও বিচার করতে হবে।

সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের প্রথম সহ-সভাপতি জনাব নাসির উদ্দিন আহমেদ। আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি একেএম মইনুল হকসহ বিমাখাতের অন্যান্য উদ্যোক্তারা।